Tuesday, 15 June 2021

ফেসবুকে উত্ত্যক্তকারীদের শায়েস্তা করতে নিতে পারেন পুলিশের আশ্রয়

 তথ্যপ্রযুক্তির অভূতপূর্ব উন্নতির ফলে যোগাযোগের মাধ্যমে এসেছে অভিনব পরিবর্তন। পৃথিবীর যে কোন জায়গা থেকে যোগাযোগের এই ব্যবস্থা মানুষকে একদিকে যেমন স্বস্তি দিয়েছে, অন্যদিকে এর অপব্যবহার মানুষের অস্বস্তির কারণও হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিশ্ব-সামাজিক আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম একটি হচ্ছে ফেসবুক। সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম জনপ্রিয় এই মাধ্যমটিতে বিনামূল্যে সদস্য হওয়া যায়।

ব্যবহারকারীরা বন্ধু সংযোজন, বার্তা প্রেরণ এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলী হালনাগাদ ও আদান প্রদান করতে পারেন, সেই সাথে একজন ব্যবহারকারী শহর, কর্মস্থল, বিদ্যালয় এবং অঞ্চল-ভিক্তিক নেটওয়ার্কেও যুক্ত হতে পারেন।

যোগাযোগের এই আমূল পরিবর্তন মানুষের দূরত্বকে অনেকটা কমিয়েছে সে কথা অনস্বীকার্য। কেননা এখন আর প্রবাসির মায়ের মাসের পর মাস ছেলের চিঠির জন্য অপেক্ষা করতে হয়না। নিমিষেই কথা বলতে পারেন কিংবা দৃশ্যছবিতে আদরের মেয়ের শ্বশুর বাড়ির জীবন দেখে নিতে পারেন বাবা।

তবে কতিপয় অসভ্য মানুষের অপব্যবহারের কারণে সামজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমটিও বড্ড অসামাজিক হয়ে উঠে। ভুক্তভোগী কারো কারো জীবন হয়ে উঠে দুর্বিষহ।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে (ইনবক্স/কমেন্টস/টাইমলাইনে) বাজে মন্তব্য/কটূক্তি বা ছবি পাঠিয়ে উত্ত্যক্তকারীদের শায়েস্তা করতে পুলিশের আশ্রয় নিতে পারেন।

এক্ষেত্রে যা করণীয়

  • উত্ত্যক্তকারী (বাজে মেসেজ বা ছবি) পোস্টির লিংকসহ স্ক্রিনশট/মেসেজের স্ক্রিনশট এবং উত্ত্যক্তকারীর একাউন্টির প্রোফাইল লিংক সংগ্রহ করে অনতিবিলম্বে নিকটস্থ থানায় অভিযোগ করুন।

অথবা

  • পুলিশের অপরাধ গোয়েন্দা বিভাগ (সিআইডি) -এর সাইবার পুলিশ সেন্টারে ভুক্তভোগী সরাসরি নিজে এসে অভিযোগ জানাতে পারেন।

সরাসরি আসতে না চাইলে নিম্নবর্ণিত যেকোন মাধ্যমে অভিযোগ পাঠাতে পারেন

বিশেষ দ্রষ্টব্য: অভিযোগ দায়ের করার আগে উত্ত্যক্তকারীকে ব্লক করবেন না। তবে অভিযোগ দায়ের করার পর প্রয়োজনবোধে সোশ্যাল মিডিয়ার বাজে মেসেজ বা ছবি উত্ত্যক্তকারী একাউন্টটিকে ব্লক করে দিতে পারন।

লজ্জা, ভয়, অসংকোচ দূরে ঠেলে এই মানসিক নির্যাতন থেকে বাঁচতে পুলিশের সহযোগিতা নিন। মনে রাখা ভাল নিরাপদ জীবন গড়তে সোশ্যাল মিডিয়ার সচেতন ব্যবহার সর্বোত্তম।

প্রযুক্তিগত বোকামি ও সাম্প্রদায়িক সংঘাত

  ইন্টারনেট ১৯৬৯ সালে আবিস্কৃত হয়। গত ১৯৯৫ সালে ইন্টারনেট বাণিজ্যিক বা কর্পোরেট পন্য হিসেবে আবির্ভূত হয়ে চলমান রয়েছে। গত ১৯৯০ দশকে টেলিফো...