নির্যাতিত নারী ও শিশুর আশ্রয়স্থল ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার
যেকোনো প্রকার নির্যাতনের শিকার বিভিন্ন বয়সী নারী ও শিশুদের আইনি
সহায়তা ও সুরক্ষা দেওয়ার জন্যে ২০০৯ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে ভিকটিম
সাপোর্ট সেন্টার। ভিকটিমকে সুরক্ষা ও আইনগত অধিকার রক্ষা, বারবার
নির্যাতনের হাত থেকে সুরক্ষা, পেশাগত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি
কাজ করে যাচ্ছে। শুধু নির্যাতনের শিকার হলেই নয় কোনো নারী বা শিশু যদি
হারিয়ে যায় কিংবা হারিয়ে যাওয়া কাউকে এ সেন্টারে এসে সহায়তা চাওয়া যেতে
পারে।
মূলত পুলিশ রিফর্মস প্রজেক্টের আওতায় এ কেন্দ্রটি চালু করা হয়েছে।
ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পুলিশের পাশাপাশি ১০টি এনজিও আইনি সহায়তাসহ
অন্যান্য কাজ করছে। এগুলো হচ্ছেঃ আইন ও সালিশ কেন্দ্র, অ্যাসোসিয়েশন ফর
কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট, অ্যাসোসিয়েশন ফর কারেকশন অ্যান্ড সোশ্যাল
রেক্লেমেশন, অপরাজেয় বাংলাদেশ, এসিড সারভাইভরস ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ জাতীয়
মহিলা আইনজীবী সমিতি, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড
সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), ঢাকা আহছানিয়া মিশন ও মেরী স্টোপস্।
ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নির্যাতিত নারী ও শিশুদের থাকার জন্য আটটি বেড
রয়েছে, এখানে সর্বোচ্চ পাঁচ দিন পর্যন্ত থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। এর পরও
যদি কোনো ভিকটিমকে থাকতে হয়, তাহলে তাকে সংশ্লিষ্ট কোনো এনজিওতে পাঠিয়ে
দেওয়া হয়। সেখানে তিনি যত দিন প্রয়োজন তত দিন থাকতে পারবেন। এ সেন্টারে
১০টি এনজিও রুটিন অনুযায়ী কাজ করে। যেমন শনিবারে অপরাজেয় বাংলাদেশ, রোববারে জাতীয় মহিলা পরিষদ, বুধবারে ব্লাস্ট এবং বৃহস্পতিবারে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আইনজীবীরা এখানে কাজ করেন।
ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের মুখ্য উদ্দেশ্য হলোঃ
১. সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বাধা দূর করে নারী ও শিশুর প্রতি সংঘটিত অপরাধ প্রতিবেদনের সুযোগ নিশ্চিত করা।
২. ভিকটিমকে সময়োপযোগী ও পেশাগত সেবা প্রদান করা।
৩. ভিকটিমের সুরক্ষা ও আইনগত অধিকার রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালন করা।
৪. সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে ভিকটিমের সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করা।
৫. ভিকটিমকে বারবার নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করা।
৬. নারী ও শিশুর প্রতি সংঘটিত অপরাধের তথ্য সংরক্ষণ করা এবং অপরাধ নিবারণের জন্য কার্যকর নীতি তৈরি করা।
নির্যাতিত নারী ও শিশুদের জন্য এ কেন্দ্রটি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। এখানে মোট ২১ জন মহিলা পুলিশ কাজ করছেন। এর মধ্যে সহকারী কমিশনার থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত রয়েছে। তা ছাড়া প্রতিটি এনজিওর পক্ষ থেকে প্রতিদিন একজন করে আইনজীবী আসেন। চিকিৎসক ও কাউন্সিলরও উপস্থিত থাকেন। যখন কোনো ভিকটিম অভিযোগ নিয়ে আসে, তখন খাতায় তার অভিযোগ লিপিবদ্ধ করা হয়। এরপর শুরু হয় ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা যাচাই পর্ব। যাচাই শেষে দেখা হয় যে এটা আমলযোগ্য, না আমল অযোগ্য অপরাধ। এরপর ভিকটিমকে জানানো হয় যে আপনার সামনে এই আইনগত পথ বা দিক রয়েছে। তখন ভিকটিমের চাহিদা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অধিকাংশ ভিকটিমই সংসার টিকিয়ে রাখতে মীমাংসার পথে যেতে চায়। তখন উভয় পক্ষকে ডেকে তাদের কথা মনোযোগসহকারে শুনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এ সময় আইনজীবী, চিকিৎসক, কাউন্সিলর, ডিউটি অফিসার উপস্থিত থাকে। তবে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অর্থাৎ মারাত্মক ঘটনার ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
সেবা পেতে যোগাযোগের ঠিকানা-
ডিউটি অফিসার : ০১৭৪৫৭৭৪৪৮৭, ০২-৯১১০৮৮৫
হেল্পলাইন : ০১৭৫৫৫৫৬৬৪৪, ০১৭৫৫৫৫৬৬৪৫, ০১৭৩৩২১৯০০৫, ০১৭৩৩২১৯০৩০
ইমেইল : vsc_dmp@yahoo.com
ডিউটি অফিসার : ০১৭৪৫৭৭৪৪৮৭, ০২-৯১১০৮৮৫
হেল্পলাইন : ০১৭৫৫৫৫৬৬৪৪, ০১৭৫৫৫৫৬৬৪৫, ০১৭৩৩২১৯০০৫, ০১৭৩৩২১৯০৩০
ইমেইল : vsc_dmp@yahoo.com