জিডি করা মানে মামলা নয়
নানা কারণে থানায় জিডি বা সাধারণ ডায়েরি করার দরকার হতে পারে। যেমন-একজন
শিক্ষার্থীর পরিচয়পত্র যদি কোনো কারণে হারিয়ে যায় অথবা আপনার ব্যাংকের
ডেবিট কার্ডটিসহ মানিব্যাগ পকেটমারের খপ্পরে কিংবা ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে
হারাতে হলো সিমসহ প্রিয় মোবাইল সেট। এই ঘটনাগুলোর সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি
পরিচিত। কারণ আপনি অথবা আপনার স্বজন হযত এমন কোনো ঘটনার মুখোমুখি হতে
হয়েছে, তাই যখনি আমরা পুনরায় প্রয়োজনীয় এই জিনিসগুলো ফেরত পেতে চাই তখনি
কর্তৃপক্ষের নিকট জিডির একটি কপি নিয়ে দেখা করতে হয়। থানা পুলিশের ভীতি আছে
এমন মানুষ জিডি করার কথা শুনলে আতঙ্কিত হয়। ভাবে এই আবার মামলা মোকদ্দমায়
জড়াতে হচ্ছে কি না। মনে রাখতে হবে, জিডি করা মানে কোনো মামলা নয়। জিডি
হচ্ছে কোনো অপরাধ সংঘটনের বিরুদ্ধে আইন সহায়তাকারী সংস্থার সাহায্য পাওয়ার
জন্য প্রাথমিক পদক্ষেপ।
জিডি কখন করতে হয়
যেকোনো ধরনের অপরাধ যেমন কেউ ভয়ভীতি বা হুমকিপ্রাপ্ত হলে, নিরাপত্তার অভাব বোধ করলে, কোনো ব্যক্তি বা তার পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের আশঙ্কা থাকলে প্রাপ্তবয়স্ক যেকোনো ব্যক্তি থানায় জিডি করতে পারেন। এছাড়া মূল্যবান কোনো কাগজপত্র বা সম্পত্তি যেমন-পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, সনদপত্র, দলিল প্রভৃতি হারিয়ে গেলে জিডি করা প্রয়োজন। আবার কখনো যদি বাসার কেউ হারিয়ে বা পালিয়ে গেলেও জিডি করা জরুরি।
যেকোনো ধরনের অপরাধ যেমন কেউ ভয়ভীতি বা হুমকিপ্রাপ্ত হলে, নিরাপত্তার অভাব বোধ করলে, কোনো ব্যক্তি বা তার পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের আশঙ্কা থাকলে প্রাপ্তবয়স্ক যেকোনো ব্যক্তি থানায় জিডি করতে পারেন। এছাড়া মূল্যবান কোনো কাগজপত্র বা সম্পত্তি যেমন-পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, সনদপত্র, দলিল প্রভৃতি হারিয়ে গেলে জিডি করা প্রয়োজন। আবার কখনো যদি বাসার কেউ হারিয়ে বা পালিয়ে গেলেও জিডি করা জরুরি।
জিডি করার প্রয়োজনীয়তা
আইনগত সহায়তা লাভের জন্য জিডির গুরুত্ব বিদ্যমান। কেবলমাত্র একটি জিডির ভিত্তিতেই একটি মামলার সূত্রপাত হতে পারে। কোনো অপরাধের আশঙ্কা থেকে একটি জিডি করার পর সে অপরাধটি সংঘটিত হলে আদালতে ওই জিডি সাক্ষ্য হিসেবে গৃহীত হয়ে থাকে। এছাড়াও যদি কোনো অপরাধের প্রমাণ মেলে তাহলে পুলিশ বাদী হয়ে নন এফআইআর মামলা করতে পারে।
আইনগত সহায়তা লাভের জন্য জিডির গুরুত্ব বিদ্যমান। কেবলমাত্র একটি জিডির ভিত্তিতেই একটি মামলার সূত্রপাত হতে পারে। কোনো অপরাধের আশঙ্কা থেকে একটি জিডি করার পর সে অপরাধটি সংঘটিত হলে আদালতে ওই জিডি সাক্ষ্য হিসেবে গৃহীত হয়ে থাকে। এছাড়াও যদি কোনো অপরাধের প্রমাণ মেলে তাহলে পুলিশ বাদী হয়ে নন এফআইআর মামলা করতে পারে।
জিডি কোথায় এবং কীভাবে করতে হয়
জিডি দেশের যেকোনো থানায় করা যায়। যিনি জিডি করবেন তিনি নিকটস্থ যেকোনো থানায় গিয়ে সাদা কাগজে লিখিত আকারে তার অভিযোগপত্রটি কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারের নিকট দাখিল করবেন। জিডি দাখিল করার জন্য কোনো ধরনের ফি প্রদান করতে হয় না। যদি কেউ জিডি করতে চান কিন্তু লিখতে না জানেন সেক্ষেত্রে তিনি কর্তব্যরত কর্মকর্তাকে মৌখিক তার কথা শোনাবেন এবং কর্মকর্তা তা লিখে অভিযোগকারীকে পড়ে শোনাবেন এবং তিনি স্বাক্ষর বা টিপসই নিবেন।
মনে রাখতে হবে, জিডির কপি তিনটি করতে হয়; এক কপি জিডিকারী থানার সিল স্বাক্ষরসহ ফেরত পাবেন। জিডি করার ক্ষেত্রে সাধারণত ঘটনাস্থলকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। আপনার ঘটনাটা ঘটছে বা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে এক থানায় কিন্তু আপনি জিডি করার ক্ষেত্রে নিজের এলাকাকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত নয়। কেননা এতে আইনি সহায়তা নিতে আপনারই ঝামেলা হবে। তাই যে এলাকায় আপনার ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে সেই এলাকার থানায় জিডি করুন।
জিডি দেশের যেকোনো থানায় করা যায়। যিনি জিডি করবেন তিনি নিকটস্থ যেকোনো থানায় গিয়ে সাদা কাগজে লিখিত আকারে তার অভিযোগপত্রটি কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারের নিকট দাখিল করবেন। জিডি দাখিল করার জন্য কোনো ধরনের ফি প্রদান করতে হয় না। যদি কেউ জিডি করতে চান কিন্তু লিখতে না জানেন সেক্ষেত্রে তিনি কর্তব্যরত কর্মকর্তাকে মৌখিক তার কথা শোনাবেন এবং কর্মকর্তা তা লিখে অভিযোগকারীকে পড়ে শোনাবেন এবং তিনি স্বাক্ষর বা টিপসই নিবেন।
মনে রাখতে হবে, জিডির কপি তিনটি করতে হয়; এক কপি জিডিকারী থানার সিল স্বাক্ষরসহ ফেরত পাবেন। জিডি করার ক্ষেত্রে সাধারণত ঘটনাস্থলকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। আপনার ঘটনাটা ঘটছে বা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে এক থানায় কিন্তু আপনি জিডি করার ক্ষেত্রে নিজের এলাকাকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত নয়। কেননা এতে আইনি সহায়তা নিতে আপনারই ঝামেলা হবে। তাই যে এলাকায় আপনার ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে সেই এলাকার থানায় জিডি করুন।
জিডি করতে হয় দরখাস্ত আকারে। দরখাস্তটি সংশ্লিষ্ট থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) বরাবর করতে হবে। লিখতে হবে ওই থানার নাম। এরপর বিষয়। বিষয়ে উল্লেখ করতে হবে আপনার অভিযোগটি কি (যেমন- জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সাধারণ ডায়েরিভুক্তিকরণ)। জনাব সম্বোধন করে বিবরণ অংশে আপনাকে বিস্তারিত লিখতে হবে। কিছু হারিয়ে গেলে তার বিস্তারিত বিবরণ এবং পারলে কোনো নমুনা উল্লেখ করুন। যদি কেউ হুমকি দিয়েছে সেক্ষেত্রে হুমকিদাতার নাম-ঠিকানা, হুমকির স্থান বা মাধ্যম, তারিখ-সময়, সম্ভব হলে হুমকির ভাষা উল্লেখ করতে হবে। সবশেষে নিচে আপনার নাম-ঠিকানা, ফোন নম্বর লিখে দিবেন।
জিডিটি যদি আমলযোগ্য অপরাধ সংঘটনের বিষয়ে হয়, তবে থানা কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি আমলে নিয়ে অপরাধটি প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেবে এবং গৃহীত ব্যবস্থা পুনরায় আবেদনকারীকে অবহিত করা হবে।