Wednesday, 30 September 2015

ওয়াকফ কি? ওয়াকফ সংক্রান্ত অধিকার (ওয়াকিফের)।

ওয়াকফ কি:-
ওয়াকফের শাব্দিক বাংলা অর্থ হলো নিরোধ ৷ অন্য ভাবে ওয়াকফ কথাটির অর্থ হলো সম্পত্তি থেকে আয়কৃত অর্থকে পবিত্র ভাবে উত্‍সর্গ করা ৷ ১৯৬২ সালের ওয়াকফ অধ্যাদেশ এর ২ ধারায় বলা হয়েছে যে, কোনো মুসলমান কর্তৃক ধর্মীয়, পবিত্র বা দাতব্য কাজের উদ্দেশ্যে তার স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি স্থায়ী ভাবে উত্‍সরর্গ করাকে বুঝায় ৷ তবে কোনো অমুসলিম ব্যক্তিও ওয়াকফের উদ্দেশ্যে তার সম্পত্তি উত্‍সর্গ করতে পারবেন ৷

ওয়াকফ সংক্রান্ত অধিকার (ওয়াকিফের)
→ওয়াকফ সম্পত্তিটি নিজে তত্ত্বাবধান করার অধিকার ৷
→ওয়াকফ সম্পত্তিটি তত্ত্বাবধান করার জন্য তার উত্তরাধিকারী নিযুক্ত করার অধিকার ৷
→মুতাওয়াল্লী নিয়োগের অধিকার ৷ (১৯৬২ সালের ওয়াকফ অধ্যাদেশ এর ৪৩,৪৪ ধারা)
→মুতাওয়াল্লী কে অপসারণের অধিকার ৷ (১৯৬২ সালের ওয়াকফ অধ্যাদেশ এর ৩২ ধারা)
→নোটিস পাবার অধিকার ৷
→ওয়াকফ সম্পত্তির রেকর্ড এবং তহবিল বিষয়ে অনুসন্ধানের অধিকার ।(১৯৬২ সালের ওয়াকফ অধ্যাদেশ এর ৩৭ ধারা)
→ওয়াকফ সম্পত্তিতে অনধিকার প্রবেশে বাধা দেবার অধিকার ৷{১৯৬২ সালের ওয়াকফ অধ্যাদেশ এর ৬৪(১) ধারা}
→অবৈধ দখলকারীকে উচ্ছেদের অধিকার ৷ (১৯৬২ সালের ওয়াকফ অধ্যাদেশ এর ২ ধারায়)

মুতাওয়াল্লীর অধিকার
→ওয়াকফ সম্পত্তি দেখাশুনা করার অধিকার ৷
(১৯৬২ সালের ওয়াকফ অধ্যাদেশ এর ৫৯ ধারা)
→মুতাওয়াল্লী কর্তৃক মৃত্যু শয্যায় মুতাওয়াল্লী নিয়োগের অধিকার ৷
(১৯৬২ সালের ওয়াকফ অধ্যাদেশ এর ৬৬ ধারা)
→ওয়াকফের কল্যাণে ওয়াকফ সম্পত্তি হস্তান্তরের অধিকার ৷
(১৯৬২ সালের ওয়াকফ অধ্যাদেশ এর ৫৬ ধারা)
→নোটিস পাবার অধিকার ৷
→ওয়াকফ সম্পত্তির রেকর্ড এবং তহবিল বিষয়ে অনুসন্ধানের অধিকার ৷
(১৯৬২ সালের ওয়াকফ অধ্যাদেশ এর ৩৭ ধারা)
→ওয়াকফ সম্পত্তিতে অনধিকার প্রবেশে বাধা দেবার অধিকার ৷
(১৯৬২ সালের ওয়াকফ অধ্যাদেশ এর ৬৪(১) ধারা)
→অবৈধ দখলকারীকে উচ্ছেদের অধিকার ৷
(১৯৬২ সালের ওয়াকফ অধ্যাদেশ এর ৬৪(১) ধারা)
→অপসারণের ফলে মুতাওয়াল্লী অসন্তুষ্ট হলে আপিলের অধিকার ৷
(১৯৬২ সালের ওয়াকফ অধ্যাদেশ এর ৩২(৩) ধারা)

লঙ্ঘন:
→জমি জরিপ হওয়ার বিষয়ে না জানানো ৷
→রেকর্ড সংশোধনের জন্য সময় ও সুযোগ না দেওয়া ৷
→চুড়ান্ত রেকর্ড প্রকাশনার কাজ চলার সময় পর্যবেক্ষণের সুযোগ না দেওয়া ৷
→রেকর্ডের মুদ্রিত কপি ও নকশা সংগ্রহ করতে চাইলে তা প্রদান না করা ৷
→কোন ব্যক্তি মারা গেলে তার উত্তরাধিকারী গণের নামে জমি রেকর্ড করিয়ে নেওয়ার সুযোগ না দেয়া ৷
→রেকর্ডের মুদ্রিত অংশের কপি পাওয়ার তা সংশোধনের সুযোগ না দেওয়া ৷
→চুড়ান্ত প্রকাশনার পরও যদি কোনো ভুল থাকে তাহলে ভুমি জরিপ ট্রাইবুনালে মামলা করতে বাধা দেওয়া ৷
লঙ্ঘনের প্রতিকার:
আপিলের মাধ্যমে।
যদি কোনো মুতাওয়াল্লী, তাকে অপসারণ করার আদেশে অসন্তুষ্ট তথা সংক্ষুদ্ধ হন তাহলে তিনি ওয়াকফ অধ্যাদেশের ৩২ ধারার ৩ উপধারা মতে উক্ত আদেশের বিরূদ্ধে ৯০দিনের মধ্যে জেলা জজের নিকট আপিল করতে পারবেন। তবে শর্ত হলো পূর্বের মুতাওয়াল্লী নতুন মুতাওয়াল্লীকে তার দয়িত্ব ভার বুঝিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত পূর্বের মুতাওয়াল্লী উক্ত অপসারণের আদেশের বিরূদ্ধে আপিল করতে পারবেন না। যদি কোনা মুতাওয়াল্লী জেলা জজের আদেশে সন্তুষ্ট না হন তাহলে তিনি ঐ আদেশের তারিখ হতে ৯০দিনের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে রিভিসনের জন্য দরখাস্ত করতে পারবেন। উল্লেখ্য যে হাইকোর্ট বিভাগের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। [(৪৫ডি.এল.আর ৭০) মতে ।]
১৯৬২ সালের ওয়াকফ অধ্যাদেশের ৩৫ ধারায় বলা হয়েছে যে প্রশাসক কর্তৃক জারিকৃত আদেশ, বিজ্ঞপ্তি/প্রজ্ঞাপণ/নোটিশের ফলে যদি কোনা ব্যক্তি অসন্তুষ্ট হন তাহলে উক্ত ব্যক্তি প্রশাসকের এই আদেশ প্রদানের ৩ মাসের মধ্যে ঐ ওয়াকফ সম্পত্তি বা সম্পত্তির অংশ বিশেষের উপর এখতিয়ার সম্পন্ন জেলা জজের নিকট দরখাস্ত করতে পারবেন যে ঐ সম্পত্তি নয় অথবা উক্ত সম্পত্তিটি সম্পুর্ণ ওয়াকফ সম্পত্তি নয়। যদি কোনো ব্যক্তি জেলা জজের আদেশে সন্তুষ্ট না হন তাহলে জেলা জজের আদেশের তারিখ হতে ৬০ দিনের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে আপিল বিভাগে করতে হবে। এবং হাইকোর্ট বিভাগের আদেশেই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
ডেপুটি কমিশনার কর্তৃক কোনো ব্যক্তিকে উত্‍খাত করা হলে তিনি উত্‍খাতের দিন হতে ৩ মাসের মধ্যে উত্‍খাতের বিরুদ্ধে জেলা জজের নিকট আপিল করতে পারবেন। এই আপিলে জেলা জজের আদেশই চূড়ান্ত।

প্রযুক্তিগত বোকামি ও সাম্প্রদায়িক সংঘাত

  ইন্টারনেট ১৯৬৯ সালে আবিস্কৃত হয়। গত ১৯৯৫ সালে ইন্টারনেট বাণিজ্যিক বা কর্পোরেট পন্য হিসেবে আবির্ভূত হয়ে চলমান রয়েছে। গত ১৯৯০ দশকে টেলিফো...